বাংলাদেশের সংবিধানেও প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ দেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। বিশ্বের ৫০ টিরও বেশি দেশ রয়েছে সেগুলোর মোট জনসংখ্যা এর চেয়ে কম। আমাদের দেশে প্রবীণদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম রয়েছে।
বেসরকারি কার্যক্রম
বেসরকারিভাবে বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে।
সরকারি কার্যক্রম
১. অবসর ভাতা: সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অবসর গ্রহণ বা মৃত্যুবরণ করলে পেনশন পেয়ে থাকেন। এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত সরকারি চাকরি করে অবসর গ্রহণ করলে অবসর সময়ের জন্য বিধি মোতাবেক যে ভাতা দেওয়া হয় তাকে পেনশন বা অবসর ভাতা বলে।
২ . বয়স্কভাতা কার্যক্রম: দেশব্যাপী প্রবীণদের কল্যাণে বিশেষত গ্রামীণ অসহায়, দুঃস্থ, অবহেলিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশের সকল ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সবচেয়ে অসহায় বয়োজ্যেষ্ঠ (সর্বনিম্ন বয়স মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬২ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর) ব্যক্তিদের প্রতিমাসে ৬০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়।
৩. বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান কার্যক্রম: দেশব্যাপী বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের কল্যাণে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এ ভাতার সুবিধা ভোগীদের অধিকাংশ বয়স্ক মহিলা।
এ ছাড়াও বর্তমান সরকার প্রবীণদের কল্যাণে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
কাজ- ১: বাংলাদেশে প্রবীণদের কল্যাণে কার্যক্রমগুলো চিহ্নিত কর। কাজ- ২: প্রবীণ কল্যাণে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়, দলীয়ভাবে মতামত দাও। |
common.read_more